কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন গড়াই নদীতে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। শিশুটির নাম শামীম (৮)। তারঁ বাবা হাসু কুষ্টিয়া শহরে রিকশা চালায়। শহরের থানাপাড়া জিকে ঘাট এলাকায় তারা ভাড়া বাসায় থাকে।
বাসার পাশেই শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর নিচে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়ভাবে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে। তবে তাকে না পেয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তবে ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ছেলেকে উদ্ধারে বাবা হাসুসহ স্বজনেরা নদীর পাড়ে ছুটাছুটি করছেন। নদীর এক দিক থেকে আরেক দিকে দৌড়ে ফিরছেন ছেলের সন্ধানে। বেলা তিনটায় সেখানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। সেতুর ওপর থেকেও অনেকে পানির দিকে চেয়ে আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেলা একটার দিকে শামীম তার ছোট ভাই সৌরব (৪) ও দাদী আমেনা খাতুনের সাথে নদীতে গোসল করছিল। বেলা দেড়টার দিকে দাদি শামীমকে খুঁজে পায় না। পরে বাড়ি গিয়েও তাকে পান না। তবে সৌরব সাথে ছিল। আমেনা খাতুন বলেন, তিনি কাপড়ে সাবান লাগাচ্ছিলেন। কয়েক মিনিট পর পেছন ফিরে দেখেন সৌরব আছে কিন্তু শামীম নাই। পরে বাসায় গিয়েও শামীমকে পান না। শামীম সাঁতার জানে না। যেখানে তারা গোসল করছিল সেটা সেতুর নিচে ব্লক দিয়ে পাড় বাধা ছিল। পানিতে প্রচুর স্রোত রয়েছে।
ছেলেকে হারিয়ে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা হাসু। তার স্বজনেরা কখনো পাড়ের নিচে পানিতে নেমে পড়ছেন। আবার কখনো দূরে ছুটে যাচ্ছেন।
খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যান। জানতে চাইলে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ বলেন, কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসে কোন ডুবুরী নাই। খুলনা থেকে ডুবুরী আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আসতে হয়তো চার ঘন্টা সময় লাগবে। তারপর উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এছাড়া পানির বন্যার পানির ব্যাপক স্রোত। দূরে কোথাও লাশ চলে যেতে পারে।
Leave a Reply