কালীগন্জে সরকারী প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার এবার সরকারী কর্মচারী

কালীগন্জে সরকারী প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার এবার সরকারী কর্মচারী

লালমনিরহাট জেলার কালীগন্জ উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সরকারী কর্মচারী ও অফিসার এবার বহাল তবিয়তে সাব – ঠিকাদার হিসাবে উপজেলার সকল বরাদ্দকৃত পিডিবি, পল্লী সীটমহলের সকল প্রকার টিউবওয়েল প্রকল্পের কাজ সম্পুর্ন করেছেন সাব ঠিকাদার হিসাবে। এ সকল কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পিডিবি কাজে প্লাটফরমগুলোতে ১৪৮ পিছ ইট ও ১৬ সে: খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে মাত্র ৯০ পিছ ইট ও ৩ সেফ্টি খোয়া এবং পল্লী সীট প্রকল্পে ১১২ পিছ ইট ও ১২ সে খোয়া ব্যবহারের পরির্বতে মাত্র ৬০ পিছ ইট ও ২ সে খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এবং মালের কেরিং ও বালু বরাদ্দকৃত ব্যক্তির নিকট হতে জোর পূর্বক আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক জনাব সাইফুর রহমান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারী কর্মচারীগন সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ করার কোনরুপ সরকারী বিধিমালা নেই। তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পিডি বাহার উদ্দিন কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জেলা এক্সচেন্জকে বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানাতে বলেন। পরে জেলা এক্সচেন্জ জনাব বজলার রহমানকে অবিযোগ করা হলে আজও কোন তদন্ত বা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জনাব আলমগীর বাদশাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্লাটফরম তৈরীতে যে পরিমান মালামাল ব্যবহারের কথা সে পরিমান ব্যবহার না হলেও প্লাটফরমের মাপমত যে পরিমান মালামাল দরকার তাই দিয়ে কাজ সম্পুর্ন করা হয়েছে। পরে আমাদের প্রতিবেদক জানতে চান সরকারী কমর্চারী হয়ে আপনি নিজে ও আপনার অফিসের টেকনিশিয়ান সহ আপনারা সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতে পারেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন ঠিকাদার দ্বারাই কাজ সম্পুর্ন করা হয়েছে। অপরদিকে টেকনিশিয়ান রুহুল আমীন, সারমিন সুলতানা, আখেরাতুন নাহার নামের তিন টেকনিশিয়ানগনের নাম ও সীল সহ মালামাল ক্রয়ের ভাউচার / রিসিপ পাওয়া গেছে। উপজেলার সর্বত্র জনসাধারনের প্রশ্ন সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ না হলে কেন তাহাদের নামে মালামাল ক্রয়ের ভাউচার পাওয়া যাবে। কালীগন্জ উপজেলার এবারই প্রথম সরকারী কাজে সাব ঠিকাদার হিসাবে সরকারী কর্মচারীদের দেখা যাচ্ছে। যা সরকারী কোন বিধিমালার অন্তভুক্ত নয়। কালীগন্জে এমন নজিরবিহীন ঘটনার জনসাধারনের মাঝে কৌতুহলের সৃস্টি হয়েছে। বিষয়টি এখন কালীগন্জ উপজেলার সর্বত্র টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এবং জনসাধারন বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন কতৃক তদন্তের দাবী জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারন।