পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’ এ প্রবাদকে সত্য হিসেবে প্রমাণ করেছেন মৎস্যচাষী কালীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। এ বছর লালমনিরহাট জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
পরিশ্রমই তাঁর সফলতার মূল চাবিকাঠি। আত্মপ্রত্যয়ী মৎস্য চাষী কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্জ নুরুজ্জামান আহমেদ এর ছোট ভাই ও কাশিরাম এলাকার মৃত আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ এর তৃতীয় ছেলে।
তিনি এখন একজন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল গ্রামে একটি মৎস্য খামার গড়ে তুলবেন। তাঁর সেই স্বপ্ন শুধু বাস্তবায়নই করেননি, মাছ চাষ করে তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। অর্জন করেছেন অভাবনীয় সাফল্য। মাছ চাষে সফলতা অর্জন করায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে সমাপনি অনুষ্টানের মাধ্যেমে তাকে গত ২৮ জুলাই শনিবার পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা দিয়েছেন।
তিনি ব্যবসা ও রাজনিতির পাশাপাশি মদাতী ইউনিয়নে নিজের ৪ একর জমিতে প্রজেক্টে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়ায় শুরু করেন বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ। এতে করে এলাকার বেশ কয়েকজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তার দেখাদেখি এলাকার আর ও অনেকে মাছ চাষ করে বেকারত্ব দুর করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, মৎস্য খামার স্থাপনের ছয় মাস পর থেকেই তিনি মাছ বিক্রি শুরু করেন। উপজেলা মৎস্য অফিসারের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। ফলে মাছের বৃদ্ধিও ভালো হচ্ছে। তার স্বপ্ন মাছের খামার আরও প্রসারিত করার। বেকার যুবকদের জন্য তৈরি করবে নতুন কর্মসংস্থান। সরকারসহ সকলের সহযোগিতা পেলে তাঁর এ স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে বলে তিনি আশা করেন।
Leave a Reply