লালমনিরহাটের হারাটী ইউনিয়নের কিসামত এলাকার রাজু মিয়া তার শিশু পূত্র ফাহিম বাবু(২) কে অপহরনের অভিযোগ করেছেন সদর থানায়।
অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, কিসামত হারাটী এলাকার আফজাল হোসেনের পূত্র রাজু মিয়া ১৪ সালে বিবাহ করেন মহিপুর কাসিয়াবাড়ী এলাকার ফারুক মিয়ার কন্যা ফারজানা খাতুন(১৮)কে। বিগত ৪ বছর সংসারে তাদের ঘর আলো করে একটি পূত্র সন্তান আসে তার নাম রাখেন ফাহিম বাবু। ফাহিম বাবুর বয়স এখন ২ বছর। গত ৩ মাস আগে রাজু মিয়ার বউ ফারজানা খাতুন তার শিশু সন্তানকে রেখে কাওকে না বলে একটি ১০ আনা স্বর্ন্যর চেইন ও নগত ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান বাবার বাড়ী রংপুরের মহিপুর কাসিয়াবাড়ী।
অসহায় স্বামী রাজু মিয়া তার শ্বশুর ফারুক মিয়াকে ফোন করলে তিনি জানান, আমার মেয়ে তোমার সংসার করবে না। তোমাকে তালাক দিবে। এ খবর শুনে রাজু মিয়া খুব চিন্তায় পড়ে যান। তিনি তার বাবা ও আত্মিয় স্বজনকে বিষয়টি অবগত করেন। অনেক চেষ্টা করেও তাকে না ফেরাতে পেরে তিনি কষ্টে শিশু পূত্রকে লালন পালন করতে থাকেন এবং জানতে পারেন তার স্ত্রীর সাথে তারই খুব কাছের বন্ধু জাহিদুল ইসলামের প্রেম। তাই তার স্ত্রী আর তার সংসার করবে না। তিনি জাহিদুলকে অনেক বুঝান যে, দেখ আমার সংসার নষ্ট করিস না । আমি শিশু পূত্র নিয়ে খুবই কষ্টে আছি তাতেও তার মন গলেনা। তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। বর্তমানে তারা ঢাকাতে সংসার করছেন। আমার স্ত্রী আমাকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে ফোন করে বলে আমাদের সুখে বাধা দিলে তোমাকে জম্মের শিক্ষা দিয়ে দিব। এরই জের ধরে গত ২২ আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে সারপুকুর এলাকার কিনা মাহমুদের (সারপুকুর ইউনিয়নের ৯ নং ইউপি সদস্য) বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম (২৭) ও ছোট ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৪) সহ আমার স্ত্রী ফারজানা আমার বাড়ীর সামনে থেকে শিশু পূত্র ফাহিম বাবুকে চকলেট দেয়ার কথা বলে ইজিবাইকে করে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় স্বাক্ষী মিনু বেগম, নাজমা আক্তার ও সেলিনা বেগম দেখিয়া তাদের আটকাতে চেষ্টা করে কিন্তু তারা দ্রুত চলে যায়। আমি রাতে বাড়ী এসে জানতে পারি আমার শিশু পূত্রকে অপহরন করা হয়েছে। আমি জাহিদুল ইসলামকে (০১৯৩৩১১৪২৫৬) ফোন করলে সে আমাকে বলে ১ লক্ষ টাকা দিলে আমরা ফাহিমকে ফেরত দিব।
এ ব্যাপারে ছেলেটির বাবা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে ফেরত চাই। যারা আমার শিশু পূত্রকে অপহরন করেছে তাদের বিচার চাই। তাই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
সারপুকুর ইউনিয়নের ৯ নং ইউপি সদস্য কিনা মাহমুদের কাছে তার ছেলেদের অপকর্মের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এই ২ জনের ১ জনেরও আমি বাবা নই, তারা আমার ৩ নাস্বার বউ এর আগের ঘরের সন্তান। তাদের মা বর্তমানে আমার ঘরে সংসার করছে। তাদের ব্যাপারে আমার মাথা ব্যাথা নেই।
অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাজু মিয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Howdy! I know this is somewhat off topic but I was wondering which blog platform are you
using for this site? I’m getting fed up of WordPress because I’ve had problems with hackers and I’m looking at
alternatives for another platform. I would be awesome if you could point me in the direction of a good platform.