কলাপাড়ায় বখাটে মাদসেবী নাঈমের ছুরিকাঘাতে মৃত্যুশঙ্কায় থাকা স্কুলছাত্রী তুলির পেট থেকে বিদ্ধ ছুরি অপসারন শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তুলির অপারেশ সম্পন্ন হয়েছে
তার জীবন এখনও গভীর সঙ্কটে,তুলির স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মেয়েটির খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে।
কয়েকটি রক্তনালী কাটা পড়েছে,স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সময় বলতে পারবে,অতি দরিদ্র পরিবারের এই সন্তান তুলির এখন চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু সহ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হৃদয়বান মানুষ আশাস্থ করেছেন তুলির চিকিৎসা সহায়তা তারা করবেন।
শ্রমজীবী বাবার চার সন্তানের দ্বিতীয় তুলি।
সখ রয়েছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বাবা-মাসহ ভাই-বোনের সংসারে যোগান দেবে,কিন্তু বখাটে মাদকসেবী নাঈম সেই পথকে রুদ্ধ করে দেয়,জীবন শেষ করতে হত্যা চেষ্টা চালায়,কী নৃশংসতা।
স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে ভাড়াটে হোন্ডায় সহযোগী ধুলাসারের সোহাগ গাজীর ছেলে রনি গাজীকে সঙ্গে নিয়ে হায়েনার মতো সশস্ত্র হামলা চালায়,সহপাঠীরা ঘাতক নাঈমকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়।
এই ফাঁকে সহযোগী রনি গাজী হোন্ডাসহ সটকে পড়ে।
শনিবার সাড়ে নয়টায় ঘাতক নাঈমের নৃশংসার শিকার হওয়া তুলিকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরাও তুলির এঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।
মহিপুর থানার ওসি জানান, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে,হত্যাচেষ্টার বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। সহযোগী রনি গাজীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে স্থানীয় মানুষকে নিয়ে রবিার সকালে ধুলাসার আলহাজ জালাল উদ্দিন কলেজ মিলনায়তনে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন, কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান, কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল আকন, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করেছেন।
Leave a Reply