মাহাবুবুর আলম টগর রাজধানীর মীরপুরের আহম্মদনগর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। গত ২৯ আগস্ট তিনি ব্যবসায়ীক কাজে যশোর এসে হোটেল ম্যাগপাইয়ের ৩০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন।
হোটেল ম্যানেজার আশিকুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, রোববার মাহাবুবুর আলম টগরের ভাড়া নেয়া রুম খোলা দেখেন হোটেলের কর্মচারীরা। এ সময় রফিকুল ইসলাম নামে এক হোটেল কর্মচারী রুমের কাছাকাছি গিয়ে দেখেন মাহাবুবুর আলম টগর অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে। তখন তারা যশোরের বেসরকারি হাসপাতাল ইবনে সিনায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে বেসরকারি দেশ ক্লিনিকে নেয়া হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিউল্লাহ সবুজ মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে চিকিৎসক শফিউল্লাহ সবুজ বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে দেখা গেছে। তার মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে।
টগরের মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তার স্ত্রী জুন্নুরাইন খান যশোরে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, মাহাবুবুর আলম টগর আইটি ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক কাজে মাঝেমধ্যে যশোর আসতেন। ২৯ আগস্ট তিনি যশোর এসে ম্যাগপাই হোটেলে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছিলেন। রোববার দুপুরে হোটেল ম্যানেজার ফোন করে মাহাবুবুর আলম টগরের মৃত্যুর খবর জানান।
Leave a Reply