কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় জমজমাট হয়ে উঠছে কোচিং বাণিজ্য। ফলে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরাই কোচিং এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোচিং বাণিজ্যের সংঙ্গে সংঙ্গে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষাথীদের মধ্যে চলছে নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতাও। এতে করে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রকৃত শিক্ষা থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি শিক্ষকদের প্রাইভেট ও নম্বর বাণিজ্যের কারনে প্রকৃত মেধাবীরা মেধার মূল্যায়ন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের কোচিং বাণিজ্য সেন্টারে সয়লাব রয়েছে। উপজেলা সদরের দূর্গয়াপুর এলাকায় প্রায় ৫/৭টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সেন্টার হলো- কুমারখালি প্রি ক্যাডেট স্কুল ।
এ কোচিং সেন্টারে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছেন। একটি কোচিং সেন্টারে ব্যাচে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এতে করে কোচিং এ এসেও ক্লাশের মতো পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। তাই অনেক স্বচ্ছল পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য উপজেলার বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভালো শিক্ষকদের অধিক বেতন দিয়ে বাসা-বাড়িতে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন বলেও জানা যায়।
অনেক কোচিং শিক্ষকরা ন মানসস্মত শিক্ষা দান না করায় ছাত্র-ছাত্রীরা কোচিং এর প্রতারণার শিকার হচ্ছে।কোচিং নির্ভরশীল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বেতন বেড়ে চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন ছাত্র জানান, আমাদের কোচিং এ শিক্ষক মাত্র একটি সেই হিসাবে আমদের ঠিক মত ক্লাস নেই না।সাপ্তাহিক ও মাসিক পরিক্ষা নেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা নেয় আমাদের কাছ থেকে।কিছু বলতে গেলেই বলে বেশি বুঝলে পরতে আসার দরকার নেই।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শিক্ষকটির ক্লাশ নিতে প্রচন্ড অনীহা রয়েছে। তবে অধিকাংশ অভিভাবকরাই অভিযোগ করেছেন কোচিং বানিজ্যের কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরা সঠিক পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়টি শিক্ষার্থীরা অভাব অনটনের মধ্যে পার করলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে প্রাইভেট পড়াতে থমকে দাড়াচ্ছে তাদের শিক্ষা জীবন। কিছু আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে মেয়েরা কোচিং পড়তে সক্ষম হলেও অসহায় দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরা আর্থিক সংকটের মধ্যেও কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছে। তবে সচেতন মহলের দাবী প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য বন্ধ করলে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার উপর নির্ভশীলতা কমে যাবে। উপজেলা কোচিং এর শিক্ষকদের সুকৌশলে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বানিজ্য আর কত দিন চলবে, কর্তৃপক্ষের কাছে এমন প্রশ্ন আজ উপজেলার সকল দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
এসব কোচিং এর উপর যথাযথ কার্যক্রম পরিচালনা করে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা কোচিং বাণিজ্যের থেকে রেহায় পাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
Leave a Reply