মহিপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইভা (১১) কে ধর্ষন শেষে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহত ছাত্রীর পিতা ইসমাইল ঘরামী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৩-৪ আসামীর বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ইভা মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
পুলিশ এ নৃশংশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাওসার ঘরামী (২২) এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাবলাতলা বাজার থেকে মহিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কাওসার সেরাজপুর গ্রামের সামসু ঘরামীর ছেলে।
মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সন্দেহজনক হিসেবে কাওসার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ১৪ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাতে কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের নিজ বাসায় একদল দূবৃত্ত ইভাকে ধর্ষন শেষে হত্যা করে। বুধবার (১৫ আগষ্ট) রাতে নিহত স্কুল ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। রাতেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় ইভার সহপাঠীসহ শতশত গ্রামবাসী জানাযায় অংশনিয়ে নৃশংশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত পাষন্ডদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
জানাযায়, ইভা হত্যা ঘটনার পরই পুলিশ তার সৎ মা সালমা বেগমকে প্রায় ২০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। ঘটনার সময় সালমা বেগম ঘরে থাকলেও কে এই ঘটনার সাথে জড়িত কিংবা তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে কিনা এ তথ্য জানতে চাইলেও সে নিরব থাকছে। এ কারনে এ হত্যারহস্য নিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি হচ্ছে।
নিহততের স্বজনরা জানান, দূবৃত্তরা ঘর থেকে বের হওয়ার পরই সালাম বেগম ডাকাত ডাকাত বলে ঘর থেকে বের হয়ে ডাক চিৎকার দিয়ে পাশ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপরই প্রতিবেশীরা গিয়ে ইভার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।
Leave a Reply