-
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’
-
বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
-
শহরকেন্দ্রিক নয়, উন্নয়ন হচ্ছে তৃণমূল থেকে
-
রোববার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ যেসকল সড়ক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) প্রধান আসামি করে ২৮তম মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এবারের মামলায় এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় পি কে হালদারের সঙ্গী হয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরো ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলায় আসামিরা হলেন- রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মমতাজ বেগম, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবুল শাহজাহান, ডা. উদ্দার মল্লিক, প্রদীপ কুমার নন্দী, অঞ্জন কুমার রায়, মো. আতাহারুল ইসলাম, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবী, সোমা ঘোষ, সাবেক সিনিয়র অফিসার মিসেস তাসনিয়া তাহসিন রোজালিন, সিনিয়র অফিসার মৌসুমী পাল, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজী, ম্যানেজার আহসান রাকিব, সাবেক এসইভিপি প্রাণ গৌরাঙ্গ রায় ও মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাবেক ভিপি মো. মনিরুজ্জামান আকন্দ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর ইমাদুল হক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ এর নামে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। যার সব নথিপত্র রেকর্ডপত্র ভুয়া। ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ঋণ গ্রহণ করার পর ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করার চেষ্টা করেন। মামলা আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯ ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply